“বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি? বাংলার ইতিহাস, বাংলার ভাষা কি এতটাই সস্তা? এ প্রশ্ন তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
নিউটাউনে এক সরকারি অনুষ্ঠানে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন— বাংলায় কথা বললেই কেউ বাংলাদেশি নয়। আর যারা এ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত করেছেন— বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত কিছু রাজনীতিক, সাবেক মন্ত্রী, এমপি এখন আশ্রয় পেয়েছেন কলকাতায়। ভারত সরকারের নীরব মদদেই তারা এখানে রয়েছেন— এই বাস্তবতাও তিনি আড়াল করেননি।
“বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি হয়ে গেল?” এ প্রশ্নে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন মমতা।
তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন— ১৯৭১ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির কথা। যারা উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে এসেছেন, তারা এই দেশের নাগরিক। তাদের নাম কেউ কাটতে পারবে না— এটা তাঁর স্পষ্ট ঘোষণা।
বাংলা ভাষার প্রতি অপমান, বাঙালি পরিচয়ের প্রতি হেনস্থা— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তা কোনোভাবেই বরদাস্ত করবেন না।
তিনি বলেন— “এশিয়ায় বাংলা ভাষা দ্বিতীয়, বিশ্বে পঞ্চম। এই ভাষার গায়ে হাত দিলে—বাংলার মানুষ চুপ করে থাকবে না।”
রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন মমতা। তিনি বলেন— ভারতে থাকা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা মাত্র দুই হাজারের মতো। তাদের বেশিরভাগ রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। চেহারায় তারা বাঙালিদের মতো নয়, ভাষাও বাংলা নয়। তাহলে কেন অযথা বাংলা ভাষার মানুষের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে?
বাংলার মানুষের ঘর-সংসার, ভাষা, সংস্কৃতি নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হোক। ভাষা ও জাতীয়তার বিভেদ নয়— মানবিকতা আর ন্যায়ের পক্ষে কথা বলাই আজ সময়ের দাবি।
বাংলায় কথা বললেই কেউ বাংলাদেশি নয়। বাংলা ভাষার অসম্মান কেউ সহ্য করবে না।