ঢাকা, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (রবিবার): প্রখ্যাত লেখক, গবেষক ও বামপন্থী রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর আর নেই। আজ সকাল ১০টা ৫ মিনিটে রাজধানীর কল্যাণপুরের বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৯৪ বছর বয়সী বদরুদ্দীন উমর দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। আজ সকালে শ্বাসকষ্ট ও লো প্রেশারের কারণে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মিরপুরের রূপনগরের বাসা থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বদরুদ্দীন উমর ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী। তিনি একসময় পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করে সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।
১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর ভারতের বর্ধমানে জন্মগ্রহণ করেন উমর। ১৯৫০ সালে পরিবারসহ ঢাকায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও ১৯৫৫ সালে দর্শনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ফিলোসফি, পলিটিক্স ও ইকোনমিক্সে (পিপিই)। শিক্ষকতা জীবনের শুরুতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। পরে ১৯৫৬ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ এবং ১৯৫৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
এ বছরের মার্চে অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জানান, সরকারি-বেসরকারি কোনো পুরস্কারই তিনি গ্রহণ করেননি, তাই স্বাধীনতা পুরস্কারও গ্রহণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে দেশের বামপন্থী রাজনীতির অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।