ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ রোববার তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিকেল ৩টায় বিএনপির সঙ্গে, সাড়ে ৪টায় জামায়াতের সঙ্গে এবং সন্ধ্যা ৬টায় এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
শনিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের এ অঙ্গীকার অটল।”
গত শুক্রবার জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গুরুতর আহত হওয়ার পর এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। নুরের মাথায় আঘাত লাগে এবং নাকের হাড় ভেঙে যায়। সরকার ইতোমধ্যে এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচাল করার সব ষড়যন্ত্র ও প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হবে। এর আগেও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিলে দলগুলোর সঙ্গে একাধিক দফা বৈঠক করেছেন ড. ইউনূস। গত এক বছরে বিএনপি ও জামায়াত তাঁর সঙ্গে পাঁচবার করে বৈঠক করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে। এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বৈঠকে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, “ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে আপত্তি নেই, তবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ভোট হতে হবে পিআর পদ্ধতিতে।”
সরকার সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠকের পর ধাপে ধাপে অন্যান্য দলগুলোকেও আলোচনায় ডাকা হবে।