রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার রাত আটটার দিকে জাতীয় পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ারও চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় জনসাধারণের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং জনদুর্ভোগ তৈরি হয়।
পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে সংঘর্ষ বেড়ে গেলে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করা হয়। পুলিশ সদস্যদের ওপরও হামলা চালানো হয়, এতে কয়েকজন আহত হন।
সেনাবাহিনী বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সংঘর্ষের শুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে এবং বিদ্যমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে মতপার্থক্য দূর করার আহ্বান জানায়। কিন্তু বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কতিপয় নেতাকর্মী তা অগ্রাহ্য করে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে। রাত নয়টার দিকে মশাল মিছিল বের করে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি করা হয়।
এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, “মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। সেনাবাহিনী সরকারের এই অবস্থানকে পুনর্ব্যক্ত করছে এবং জনমনে স্বস্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। জননিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।”