33
নেপালে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। চলমান অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে নিতে দেশের শাসনভার হাতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। দেশজুড়ে কার্ফু জারি করা হয়েছে এবং রাস্তায় সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবে। একইসঙ্গে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেনা কর্তৃপক্ষ।
সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা
মঙ্গলবার নেপালের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। বিশেষত বাঁকের জেলার সংশোধনাগারে বন্দিদের সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত এবং আরও সাতজন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
অন্যদিকে পোখরান জেল থেকে প্রায় ১,৬০০ বন্দি পালিয়ে গেছে আন্দোলনকারীদের হামলার পর।
এছাড়া বিক্ষোভকারীরা রাজধানী কাঠমান্ডুতে পার্লামেন্ট ভবন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ওলির বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট এবং বিভিন্ন সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগ করে।
আলোচনায় সেনাবাহিনী ও বিক্ষোভকারীরা
সেনাপ্রধান অশোকরাজ সিগডেল মঙ্গলবার রাতে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বুধবার বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল-এর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেনাবাহিনী আশা করছে, আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা কমানো সম্ভব হবে।
সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারি
সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। কেউ ভাঙচুর বা লুটপাটে জড়ালে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।”
একই সঙ্গে সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আচরণের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।