3
ছাত্র-জনতার টানা বিক্ষোভের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর অনুরোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তার আশ্বাস পাওয়ার পরই তিনি ইস্তফা দেন।
এর আগে সকালে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। একইভাবে অগ্নিসংযোগ করা হয় নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের বাসভবন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের বাড়ি, বিভিন্ন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের বাসভবন ও দলীয় কার্যালয়ে। এমনকি নেপালি কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট পার্টির সদর দফতরেও আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। নেতাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নেপাল সরকার। সেই সিদ্ধান্তেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশব্যাপী আন্দোলন। সোমবার রাজধানীতে বিক্ষোভ দমনে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হন। এতে আন্দোলন আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করে।
অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় একের পর এক মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পানি সম্পদ মন্ত্রী ইস্তফা দেন, পরে কৃষিমন্ত্রী রামনাথ অধিকারীসহ আরও কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টির ২১ জন এমপি গণইস্তফার ঘোষণা দেন এবং পার্লামেন্ট ভেঙে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। বিশ্লেষকদের মতে, নেপালে চলমান এই আন্দোলন দেশটির রাজনীতিতে নতুন মোড় আনতে পারে।