ঢাকা, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (শনিবার): নারী-পুরুষ নির্বিশেষে একা জীবনযাপন কঠিন। তবে বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে একাকিত্ব যেন আরও বেশি বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে। সমাজ কাঠামোয় বিধবা বা অবিবাহিত নারীরা প্রায়শই অবহেলার শিকার হন। পরিবারে থেকেও তারা একা হয়ে পড়েন—খোঁজ নেওয়ার সময় মেলে না সপ্তাহ বা মাস জুড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে যদি কেউ সঙ্গীর অভাব বোধ করেন, তবে তা স্বাভাবিক এবং তাকে উৎসাহ দেওয়া উচিত। কিন্তু সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রায়ই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই ৪০ বা ৫০ বছর পার হওয়ার পর বিয়ে করার সিদ্ধান্তকে সমালোচনার চোখে দেখেন। অথচ সঠিক সঙ্গী নির্বাচন করতে পারলে এই বয়সেও নতুন জীবনের আনন্দ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
তবে এই সময় বিয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। বিশেষ করে সঙ্গীর মানসিকতা, আর্থিক সামর্থ্য, সামাজিক অবস্থান ও ভবিষ্যতে একে অপরের পাশে থাকার নিশ্চয়তা যাচাই করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দেন, দেনমোহর নারীর অধিকার এবং এটি ঠিক করতে হবে বরের আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী।
সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথাও জোর দিয়ে বলা হচ্ছে। শুধু কথায় নয়, বাস্তব জীবনে আশেপাশের একা থাকা মানুষটির পাশে দাঁড়ানোই তাদের একাকিত্ব ভাঙতে সবচেয়ে বড় সহায়তা হতে পারে।
প্রশ্ন থেকে যায়—কেউ যদি একাকিত্ব কাটিয়ে বিয়ের মাধ্যমে নতুন করে জীবনের স্বাদ নিতে চান, তবে আপত্তির কারণ কী? মূল কথাটি হলো, একাকিত্ব কাটিয়ে একটু ভালো থাকা।