বর্তমানে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বয়সের বেশি তফাৎ কমে এসেছে। তার পরও প্রায়ই ১০, ১২, ১৫ বছরের তফাতে বিয়ে হতে দেখা যায়। মনোসামাজিক সমস্যার বাইরে বেশি বয়সে বিয়ের একটি সমস্যা হলো ‘ফার্টিলিটি’। ৩০ বছরের পর নারীর ডিম্বাণুর সংখ্যা কমতে থাকে, সেই সঙ্গে কমতে থাকে সন্তান ধারণের ক্ষমতা।
এ ছাড়া ত্রিশের পর সন্তান নিলে নারীর গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য ঝুঁকি বেশি থাকে। সন্তানের ডাউন সিনড্রোম ও অন্যান্য জেনেটিক জটিলতার ঝুঁকিও বাড়ে। শুধু নারীদের নয়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মানেও নানা পরিবর্তন ঘটে।
এ অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের একসময় অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে যেত। তখনো পুরুষের তুলনায় নারীর বয়স থাকত কম, সাধারণত ব্যবধানটা হতো ৫ থেকে ১০ বছর। এখনো বাল্যবিবাহের চল আছে, তবে আগের মতো না। অনেক পরিবারই সন্তানকে পড়াশোনা করিয়ে নির্দিষ্ট বয়সে বিয়ে দেন। এখন ব্যবধান কমে কাছাকাছি বয়সে বিয়ে হচ্ছে। তবে এর মধ্যেও ব্যতিক্রম আছে। নানা কারণে কেউ কেউ নিজের চেয়ে দ্বিগুণ বয়সীকেও বিয়ে করছেন। বিয়ের পর এমন দম্পতিরা শারীরিকভাবে নানা রকম চাপের মধ্যে পড়েন। বেশি বয়সের ব্যবধানে বিয়ে করা দম্পতিদের স্বাস্থ্যগত নানা রকম চাপ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. তানজিনা হোসেন।
বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে, বেশি বয়সে বাবা হলে সেই সন্তানদের অটিজম বা এডিএইচডি–জাতীয় সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বয়স যত বাড়ে, পুরুষের শুক্রাণুর মিউটেশনও বেশি হয়; আর তাতে অনাগত সন্তানের শারীরিক নানা জটিলতার আশঙ্কা থাকে। এমনকি ত্রুটিপূর্ণ শুক্রাণু থেকে তৈরি ভ্রুণে মিসক্যারেজের পরিমাণ বেড়ে যায়।